বাংলাদেশ থেকে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি নিতে পুরো প্রক্রিয়াটিকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে স্বচ্ছ রাখতে হবে। এটি হলে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জনশক্তি নেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত হবে।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রামলান ইব্রাহিম আজ সোমবার পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা বলেছেন। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পেয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, জিটুজি প্লাস নামের পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জনশক্তি রপ্তানির প্রসঙ্গটি এলে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রসচিব পুরো প্রক্রিয়াটিকে নিয়মতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাখার কথা বলেন। মালয়েশিয়ার জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এ সময় জানান, তাঁর দেশ বাংলাদেশ থেকে বেশিসংখ্যক জনশক্তি নিতে আগ্রহী। এ জন্য পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়াটিকে সফল করতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জনশক্তি পাঠানোর ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেলেও সম্ভাবনার তুলনায় তা খুব কম। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বৈষম্য কমাতে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা বাড়ানোর প্রসঙ্গটি আসে। এ নিয়ে জানতে চাইলে এক কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় বাণিজ্যবৈষম্য কমাতে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের জন্য আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি এটাও বলেছে, বাংলাদেশ যদি এফটিএ সই করতে আগ্রহী না হয়, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করার জন্য আলোচনা শুরু করাই ভালো।
বৈঠকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সামর্থ্য বাড়াতে সহযোগিতায় রাজি হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের সৎ ব্যবসায়ীদের মাল্টিপল ভিসা দিতে রাজি হয়েছে। জানা গেছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গটি আলোচনায় এলে বাংলাদেশ টেকসই সমাধানের কথা বলে। এ সময় মালয়েশিয়া জানায়, সমস্যার সমাধান তারাও চায়। সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার কথা জানায় মালয়েশিয়া।
সূত্র :http://www.newspapers71.com
No comments:
Post a Comment